YOUTH FELLINGS: সালুমারদা থিমমাক্কার অ্যামেজিং স্টোরি

Thursday, January 31, 2019

সালুমারদা থিমমাক্কার অ্যামেজিং স্টোরি

Image result for padasree thimmakka

সন্তান না হওয়ায় একঘরে করেছিল সমাজ, ‘প্রতিশোধ’ নিয়ে পদ্মশ্রী পেলেন থিম্মাক্কা””””

বিবাহিত জীবনের ২৫ বছর পরেও কোনও সন্তান হয়নি। সমাজ তাঁকে একঘরে করে গিয়েছিল। গর্ভধারণ করতে না পারলে নাকি নারী পূর্ণতা পান না, আজও প্রচলিত সমাজে অনেকেরই ধারণা এমনটাই। কিন্তু তাকেই পাল্টে দিলেন থিম্মাক্কা। সমাজের প্রতি নিলেন মধুর প্রতিশোধ। 

কর্নাটকের গুব্বি তালুকের বাসিন্দা বেকাল চিক্কাইয়ার সঙ্গে থিম্মাক্কার বিয়ে হয়েছিল। সন্তান না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে অনন্য এক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ঠিক করেন, গাছ লাগাবেন। আর তাদেরই বড় করবেন সন্তানস্নেহে। 
Image result for padasree thimmakka

থিম্মাক্কার কিন্তু কোনও ডিগ্রি নেই। গ্রামের আর পাঁচজন দরিদ্র ভারতীয় মহিলার মতোই শ্রমিক হিসেবে কাজ করে রুটিরুজি চালানো এক নারী। 

ভূমিহীন দিনমজুর এই দম্পতি সমাজেও ছিলেন একঘরে। কথা বলার সমস্যা থাকায় চিক্কাইয়াকে তার পড়শিরা বলত তোতলা চিক্কাইয়া। সমাজ বিচ্ছিন্ন স্বভাব-লাজুক চিক্কান্না আর থিম্মাক্কার দিনগুলো ছিল বেশ একলা, বিষণ্ণ। তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন সমাজের বঞ্চনার জবাব দেওয়ার। তখনই মাথায় আসে গাছ লাগানোর বিষয়টি। 

শুরুটা কী ভাবে হল? প্রথম বছরে ১০টি, দ্বিতীয় বছরে ১৫টি, তৃতীয় বছরে ২০টি বটগাছের চারা লাগালেন। এক সময় এই সন্তানদের দেখাশোনার জন্য দিনমজুরির কাজও ছেড়ে দেন চিক্কাইয়া। থিম্মাক্কা রোজগার করতেন, আর বাড়ি ফিরে স্বামীর সঙ্গে সন্তানদের দেখভাল করতেন। 

রোজ প্রায় চার কিলোমিটার পেরিয়ে তাঁরা এই গাছগুলিতে জল দেওয়ার কাজ করতেন। গবাদি পশুর হাত থেকে চারাগাছগুলিকে বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়াও বানিয়ে দেন।

তাঁর গ্রাম হুলিকাল থেকে কুদুর অবধি ২৮৪টি বটগাছের চারা লাগিয়ে বড় করেছেন তিনি। প্রায় চার কিলোমিটার পথ জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়াময় সুবিশাল গাছগুলি থিম্মাক্কার ভালোবাসারই নিদর্শন, বলেন পথচারীরাও

১৯৯১ সালে স্বামী মারা যান। থিম্মাক্কা একা রইলেন গাছ সন্তানদের পরিচর্যায়। তাঁর কাজের প্রতি সম্মান দেখিয়ে গ্রামবাসীরা তাঁকে ‘সালুমারাদা’, বলে ডাকতে শুরু করলেন। কন্নড় ভাষায় যার অর্থ ‘গাছেদের সারি।’

সালুমারাদা থিম্মাক্কা লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে যেতেন। ১৯৯৬ সালে ‘জাতীয় নাগরিক সম্মান’ ভূষিত হওয়ার পর তাঁর কথা জানতে পারে গোটা দেশ। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা এগিয়ে আসে তাঁকে সাহায্য করতে। 
^
বর্তমানে থিম্মাক্কার গাছগুলিকে দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে কর্নাটক সরকার। সেই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সন্তানদের নিজে প্রতিপালন করতে পারলেই তিনি খুশি হতেন। কারণ কখনওই কারও সাহায্য চাননি তাঁরা। 

২০১৬ সালে বিবিসি-র বিচারে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী মহিলাদের তালিকায় রয়েছে সালুমারাদা থিম্মাক্কার নামও। আন্তর্জাতিক স্তরের উদ্যোগে থিম্মাক্কা ফাউন্ডেশনেও তৈরি হয়েছে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। 


সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ খুনের প্রতিবাদ সভাতেও থিম্মাকাকে দেখা গিয়েছে সম্প্রতি। 

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, গত ৮০ বছরে প্রায় ৮০০০ গাছ পুঁতে তাদের বড় করে তুলেছেন ১০৬ বছর বয়সী এই বৃক্ষমাতা। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত হয়নি। সেই থিম্মাকাই এ বার পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়নের কারণেই। পদ্মশ্রী ছাড়া আন্তর্জাতিক স্তরেও বহু পুরস্কার পেয়েছেন এই বৃক্ষমাতা।
Image result for padasree thimmakka

No comments:

Post a Comment

OSCAR CEREMONY 2019 ALL DETAILS

Nobody really knew what would happen at 2019 Oscars on February 24 — the first ceremony in 30 years without a host. The evening conclud...